যন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য তো?
মেমোরি কার্ডের আকারের তারতম্যের কারণ হলো একেক ধরনের যন্ত্রে একেক ধরনের মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয়। তাই যন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। সব যন্ত্রে ব্যবহার করা যায় এমন মেমোরি কার্ড বলে কিছু নেই। প্রচলিত কয়েক ধরনের মেমোরি কার্ড হলো:
*কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাশ বা সিএফ কার্ড: কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাশ (সিএফ) মেমোরি কার্ড বেশ পুরোনো হলেও ডিজিটাল ক্যামেরায় এখনো এর ব্যবহার রয়েছে। দ্রুতগতি ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় অনেক পেশাদার আলোকচিত্রী সিএফ কার্ড ব্যবহার করেন। সিএফ কার্ডের সর্বোচ্চ গতি সেকেন্ডে ১৬০ মেগাবাইট।
*সিকিউর ডিজিটাল (এসডি) কার্ড: সিকিউর ডিজিটাল বা এসডি মেমোরি কার্ড বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়। এসডি কার্ডের জনপ্রিয়তার মূলে এর গতি এবং ধারণক্ষমতা। ডিএসএলআর কিংবা মিররলেস ক্যামেরার জন্য এসডি কার্ড বেশ উপযোগী। এর সর্বোচ্চ গতি সেকেন্ডে ৩০০ মেগাবাইট। সম্প্রতি ১ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার এসডি কার্ড বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে স্যানডিস্কের মূল প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল।
*মাইক্রো এসডি কার্ড: সিকিউর ডিজিটাল বা এসডি কার্ডের ক্ষুদ্র সংস্করণ মাইক্রো এসডি কার্ড। এর আকৃতি হাতের নখের সমান। মাইক্রো এসডি কার্ডের প্রচলন সাধারণত ছোট ক্যামেরা, মোবাইল ফোন বা ছোট যন্ত্রেই বেশি। বর্তমানে বাজারে সর্বোচ্চ ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার মাইক্রো এসডি কার্ড পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ গতি সেকেন্ডে ২৭৫ মেগাবাইট।
*সিফাস্ট কার্ড: সিফাস্ট কার্ডের ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না। দেখতে অনেকটা কমপ্যাক্ট ফাস্ট কার্ডের মতোই। এই ধরনের কার্ড বেশ উচ্চগতি ও উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে।
*এক্সকিউডি কার্ড: সিফাস্টের মতোই এক্সকিউডি কার্ড উচ্চগতির মেমোরি কার্ড। প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে পারে। এর ধারণক্ষমতা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেশাদারি কাজেই এর ব্যবহার বেশি। নাইকন ক্যামেরায় এই ফরম্যাটের মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয়।
গতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে
মেমোরি কার্ডের দুই ধরনের গতি রয়েছে, তথ্য গ্রহণের গতি বা রিড স্পিড এবং তথ্য প্রেরণ বা রাইট স্পিড। তথ্য গ্রহণের গতি প্রেরণের গতির চেয়ে সব সময় বেশি হয়। তবে ভিডিও ধারণ বা উচ্চ রেজল্যুশনের ভিডিও দেখতে প্রেরণের গতি বেশি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মেমোরি কার্ডের গায়ে তথ্য গ্রহণের গতির হারই উল্লেখ থাকে, প্রেরণের হার মেমোরির কার্ডের মোড়কে দেওয়া থাকে। সব যন্ত্রেই দ্রুতগতির মেমোরি কার্ডের প্রয়োজন হয় না, আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী মেমোরি কার্ডের গতি নির্ভর করবে। এসডি ও মাইক্রো এসডি কার্ডে তথ্য আদান-প্রদানের গতির শ্রেণিবিভাগও রয়েছে, যাকে বলে স্পিড ক্লাস। চার শ্রেণির এসডি ও মাইক্রো এসডি কার্ড পাওয়া গেলেও সাধারণ ব্যবহারের জন্য ক্লাস টেন এবং ইউওয়ান কেনা ভালো।
উপযুক্ত ধারণক্ষমতা কি না, দেখে নিন
আপনার কাজের ধরন কিংবা যন্ত্র অনুযায়ী উপযুক্ত তথ্য ধারণক্ষমতার মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার মেমোরি কার্ড আপনার যন্ত্র ধীরগতির করে দিতে পারে। এ ছাড়া যন্ত্রের উপযোগী ধারণক্ষমতার মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা উচিত। মুঠোফোনে সাধারণত ৬৪ গিগাবাইটের বেশি মেমোরি কার্ডের ব্যবহার করা হয় না।

0 comments:
Post a Comment